দিন দিন বেড়েই চলেছে বিড়াল পালার হিড়িক। আমরা অনেকেই শখের বসে বিড়াল পালি। বিড়ালের প্রতি সবারই একটি আলাদা টান আছে। বিড়াল পালা ইসলামে নাজায়েয বা হারাম নয়। নবীজী স. নিজে বিড়াল পালতেন। খুব যত্ন নিতেন বিড়ালের। অনেক সময় আপনার আদুরে বিড়াল আপনাকে কামড় দিতে পারে। তাই আজ আলোচনা করব,
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়।
বিষয়টি বিড়াল প্রেমিদের জানা আবশ্যক।
মনে রাখতে হবে, বিড়ালের কামড়ানোর ধরন বুঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আরও যে বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে তা হলো, বিড়ালের কামড়ের ক্ষতস্থানের গভীরতা কত? বিড়ালের কামড়ের ফলে রক্তপাত হয়েছে কি না? বিড়াল কামড় বা আচড় দিলে কখন ডাক্তারের কায়ে যেতে হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। সবগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১. বিড়ালের কামড়ে যদি ক্ষত হয় বাট রক্তপাত না হয় তাহলে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। বিড়াল আচড় দিলে ক্ষতস্থান জীবাণুনাশক দিয়ে বিড়ালের আচড়ের স্থানটি পরিষ্কার করে নেয়াই যথেষ্ট।
২. বিড়ালে কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত স্থান সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কারণ, সাবান পানি হলো, জীবাণু রোধে সবচেয়ে বেশি প্রতিষেধক।
৩. বিড়াল কামড়ালে অ্যান্টিবায়োটিক ইউজ করতে হবে। কারন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এরপর রক্তপাত বন্ধ করতে গজ ইউজ করতে পারেন।
৪. বিড়ালের কামড়ে রক্তপাত হলে তা বন্ধ করতে সাথে সাথে ব্যান্ড এইড লাগিয়ে নিন। কোন রকম মলম বা ক্রিম ইউজ না করাই ভাল।
৫. বিড়ালের কামরে হালকা ক্ষত হলেও অবহেলা করবেন না। খেয়াল করুন ক্ষতস্থ্ন ফুলে গেছে কি না? ক্ষতস্থান লাল হয়ে গেলে বা রক্তপাত বন্ধ না হলে বা তীব্র ব্যথা অনুভব করলে বুঝবেন জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। তখন ডাক্তারের কাছে যান।
৬. বিড়াল কামড়ানোর পর জ্বর আসলে বুঝবেন এটা বিপদের আলামত। অনেক সময় বড়দের জ্বর না আসলেও ছোটদের আসতে পারে। তখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ৫ টি সেরা অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত কি না, বোঝার জন্য কতগুলো লক্ষণ আছে। বিড়ালের আচরণে পরিবর্তন আসবে, আগ্রাসী হয়ে উঠবে। ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, মুখ দিয়ে লালা ঝরা বা গলার স্বরে পরিবর্তন আসা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পেলে বুঝবেন বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত। আর র্যাবিশে আক্রান্ত বিড়াল সাধারণত বেশি দিন বাঁচে না। যদি মোটামুটি ৮-১০ দিন সুস্থ থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিড়াল র্যাবিশে আক্রান্ত ছিল না।
মনে রাখবেন, বিড়াল আল্লাহর সৃষ্টি এক সুন্দর মাখলুক। তাকে কখনো কষ্ট দেয়া যাবে না। তাকে আদর সোহাগ করতে হবে। তার খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে গোসল করাতে হবে। তাকে ভাল প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আপনার অনুপস্থিতে সে যেন আপনার বাসার খাবার না খেয়ে ফেলে সেটাও শেখাতে হবে।
আপনি কি জানেন কখন থেকে বিড়াল মানুষের জনপ্রিয় ওঠে? তাহলে শুনুন আমি বলছি- 500 খ্রিষ্টপূর্ব বিড়াল হয়ে ওঠে ধনীদের পোষা প্রাণী। চীনের নম্রাট বিড়াল পোষার পর থেকেই ধনীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিড়াল পোষা। মহাকাষে পাঠান প্রথম বিড়ালের নাম ফেলেস্টই। 2015 সালে প্রথম বিড়ালের ভিডিও ভাইরাল হয় ইউটিউবে।
বিড়াল প্রেমী বন্ধুরা, আজ আরোচনা করলাম-বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়। তা নিয়ে। সামনে কী বিষয় নিয়ে লিখব? কমেন্টে জানাও। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ ই কমার্সের জন্য ওয়েব ডিজাইন আইডিয়া
No comments:
Post a Comment